আমার সুরমা ডটকম: জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে মুহাম্মদ শফিকুর রহমান সভাপতি ও একই প্যানেলের ফরিদা ইয়াসমিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসক্লাবের ৬২ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী সাধারণ সম্পাদক হলেন ফরিদা ইয়াসমিন। নির্বাচনে ১৭টি পদের মধ্যে ১৪টিতেই বিজয়ী হয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থকদের শফিকুর-ফরিদা প্যানেল। এরমধ্যে জেষ্ঠ সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ পদও রয়েছে। বিএনপি সমর্থক ‘এমএ আজিজ-কাদের গনি চৌধুরী’র প্যানেল থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের একটি পদে ইলিয়াস খান এবং নির্বাহী সদস্যের একটি পদে হাসান হাফিজ বিজয়ী হয়েছেন। প্যানেলের বাইরে এককভাবে প্রার্থী হয়ে নির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি মাঈনুল আলম।
শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ক্লাবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা জাব্বার ফলাফল ঘোষণা করেন। ফল ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জাতীয় প্রেসক্লাবে উপস্থিত ছিলেন।
এবার ১ হাজার ২১৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৮৯ জন সদস্য ভোট দিয়েছেন। সভাপতি পদে শফিকুর রহমান ভোট পেয়েছেন ৬৭২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমএ আজিজ পেয়েছেন ২৭৯ ভোট। এই পদে অন্য প্রার্থী খন্দকার মনিরুল আলম পেয়েছেন ১২০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ফরিদা ইয়াসমিন ৪৩৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাদের গনি চৌধুরী পেয়েছেন ৩৫০ ভোট। এই পদে অন্য প্রার্থী কামরুল ইসলাম চৌধুরী ২৮২ ভোট পেয়েছেন।
জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হয়েছেন সাইফুল আলম। তিনি পেয়েছেন সর্বাধিক ৮০৭ ভোট। এই পদে অন্যম দুই প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস ৩৬২ এবং নুরুল আমিন রোকন ১৮৩ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদরুল হাসানের ভোট ২৩৯। অন্য প্রার্থী আমিরুল ইসলাম কাগজী ১৫৬ এবং মো. মোকাররম হোসেন ৪৪ ভোট পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন কার্তিক চ্যাটার্জী ৪৭৮ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনাক হোসেনের ভোট সংখ্যা ৩৯২। এই পদে অন্যে প্রার্থী সরদার ফরিদ আহমদ পেয়েছেন ১৯৮ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শাহেদ চৌধুরী (৬২৭) ও ইলিয়াস খান (৪৫২)। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফ আলী পেয়েছেন (৪৩৯) ভোট। নির্বাচিত ১০ নির্বাহী সদস্য ক্রমানুসারে শ্যামল দত্ত (৫৭৪), কুদ্দুস আফ্রাদ (৫৩৫), মাঈনুল আলম (৫১১), রেজোয়ানুল হক রাজা (৪৮৮), মোল্লা জালাল (৪৫৯), শামসুদ্দিন আহমেদ চারু (৪৫২), হাসান হাফিজ (৪২৩), শাহনাজ বেগম (৩৯৯), কল্যাণ সাহা (৩৭৮) ও হাসান আরেফিন (৩৬০)।